লাগামছাড়া বীজ আলুর দাম : দুশ্চিন্তায় কৃষকরা ফসলের দাম নিয়ে

30th October 2020 11:06 am বাঁকুড়া
লাগামছাড়া বীজ আলুর দাম : দুশ্চিন্তায় কৃষকরা ফসলের দাম নিয়ে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  লাগামছাড়া আলু বীজের দাম সমস্যা চাষিরা তাদের দাবি সরকার যখন আলুর দাম নির্ধারণ করছে তখন আলু বীজের দাম কেন ন্যায্যমূল্যে বেঁধে দিচ্ছেন না । শারদোৎসব শেষে এবার শীতের শুরুতেই শুরু হয়েছে আলুর মরসুম। সাধারণভাবে নভেম্বর থেকেই জোর কদমে আলু চাষের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাজে এবার অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাঁকুড়ার সাধারণ কৃষিজীবি মানুষকে। আলু বীজ, সার, কীটনাশক ও মজুরি খরচ যে হারে বেড়েছে ও বাড়ছে, তাতে আলু চাষে আদৌ লাভ হবে কি না আশঙ্কায় এখানকার চাষিরা।  চলতি মরশুমে আলু চাষের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলার পাত্রসায়র ব্লক এলাকার বিভিন্ন অংশের যেমন চরগোবিন্দপুর , পাঁচপাড়া মামুদপুর , টাশুলি , নারায়ণপুর , প্রতাসপুর , দক্ষিণ গোবিন্দপুরের চাষীরা জলদি জাতের আলু চাষের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এবছর আলু বীজের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে দিশেহারা অবস্থা তাদের। বিগত কয়েক বছরের থেকে তিন গুণেরও বেশি দাম বাড়ায় চরমসমস্যায় তারা। ঐ এলাকার আলু চাষীরা জানালেন গত বছর যেখানে ৫০ কেজির প্যাকেট পিছু আলুবীজের দাম ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজারের উপর। এর বাইরে সার, কীটনাশক, সেচ-এসবের খরচ ধরলে বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকার উপর খরচ পড়বে। পরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা তো আছেই। ফলে এতো পরিমান খরচ করে আলু চাষ করা সম্ভব নয় বলেই তারা জানিয়েছেন। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকার চাষীদের দাবি, তাদের উৎপাদিত আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে। আর এই মুহূর্তে বীজের দাম যখন আকাশছোঁয়া তখন ঐ একই ভূমিকা পালন করুক তারা। একই সঙ্গে সমবায় সমিতির মাধ্যমে আলু বীজ সরবরাহের দাবিও জানিয়েছেন পাত্রসায়রের আলু চাষীরা। তবে আলু বীজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে শাসক দলকে দোষারোপ করছে বিজেপি নেতা তথা পাত্রসায়ের মন্ডল ২  সভাপতি তমাল কান্তি গুই।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।